বরগুনা জেলার সংবাদ হাইকোর্টে বেতাগীর ওসি ও এসআইর অভিযোগ অস্বীকার এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাড়িতে পুলিশি পাহারা
বরগুনার বেতাগী উপজেলার কিসমত ভোলানাথপুর গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থীর নামে অশ্ল¬ীল লিফলেট ছড়িয়ে কলঙ্ক রটানোর দায়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে আপসের পরামর্শ দেয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশনানুযায়ী মঙ্গলবার বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহআলম ও উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন হাইকোর্টে হাজির হয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমানকে নির্দেশ দিয়ে তাদেরকে ২৬ ফেব্রুয়ারি আবার হাইকোর্টে হাজির হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে স্বপ্রণোদিত হয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেন বেতাগী থানার ওসি ও এসআইকে ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে হাজির হয়ে জবাবদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইমঙ্গে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. মাহাবুব হাকিমকে যৌন হয়রানির শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলে পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সেই থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাড়িতে পুলিশ পাহারায় রয়েছে। তাকে পরীক্ষার কেন্দ্রেও পুলিশ আনা-নেয়া করছে। তবে বখাটের সহযোগী সাইফুল ইসলাম শাহিনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল বখাটে কিসমত ভোলানাথপুর গ্রামের মজিবর মৃধার ছেলে শামিম মৃধাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেননি।
শামিম নামের বখাটে বেতাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গত ২ মাস ধরে যৌন হয়রানি করেছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই পরীক্ষার্থীর নামে অশালীন লিফলেট বের করে পরীক্ষার কক্ষসহ শহরে ছড়িয়ে দেয়। কিশোরীর বাবা ৩ ফেব্রুয়ারি এলাকার ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বেতাগী থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহআলম জানান, সাধারণ ডায়েরিটি ২০৯ ধারায় আদেশের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেনকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ফারুক হোসেন কিশোর পরিবারকে বখাটেদের সঙ্গে আপষ করার পরামর্শ দেন। বখাটেদের বেপরোয়া আচরণ, কটূক্তি ও মানষিক চাপে ওই কিশোরী সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বেতাগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ওই রাতেই বখাটের সহযোগী সাইফুল ইসলাম শাহিনকে গ্রেফতার করে।
বরগুনার মোটরসাইকেল চালককে গলা কেটে হত্যা
আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের আবদুস ছালাম (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল চালককে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। গতকার শনিবার গভীর রাতে পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আমতলীর মহিষডাঙ্গা গ্রামের আবদুল বারেক মিয়ার ছেলে আবদুস ছালাম ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাত। শনিবার রাত ১২টার সময় ছালাম মোবাইলে ভাড়ায় যাওয়ার খবর পেয়ে মোটরসাইকেলসহ বাড়ি থেকে বের হয়ে। এরপর রাত ২টার দিকে ছালামকে পায়রাকুঞ্জের স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পটুয়াখালীর পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানা পুলিশ জানায়, ছালামের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তবে কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বরগুনায় অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর ভস্মীভূত
বরগুনা, ১২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামিলুর রহমানের বসতঘর মালামালসহ পুড়ে গেছে। কামিলুর রহমান জানান, শত্রুতাবশত তার বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। আগুনে তার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পটুয়াখালীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মোটরসাইকেল চালক নিহত
পটুয়াখালী, ১৩ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক আবদুস ছালাম সিকদার নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেয়ার পথে গতরাত সাড়ে তিনটায় সে মারা যায়। নিহত আবদুস ছালাম আমতলী উপজেলার বারেক সিকদারের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের সহকর্মীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় আমতলী থেকে এক ব্যক্তি পটুয়াখালীর বদরপুরের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য ছালামের মোটরসাইকেল ভাড়া করে রওয়ানা হয়। কিন্তু পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কালিচান্না বাজারের দক্ষিণ পাশে এসে মোটরসাইকেল থামিয়ে চালককে নামিয়ে আরোহী ছুরি দিয়ে তার পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে। পরে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘাতক পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ছালামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সে মারা যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মঠবাড়িয়ায় ইয়াবাসহ আটক ২
পিরোজপুর, ১২ ফেব্রুয়ারি মঠবাড়িয়া উপজেলায় শুক্রবার গভীর রাতে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে স্থানীয় শহিদ মোস্তফা খেলার মাঠ হতে ১শ’ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আজাদ (২৯) ও মঞ্জু মিয়াকে (২৬) আটক করেছে। আটককৃতদের ওই রাতেই বরিশাল র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।র্যাব-৮ সূত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার পুত্র মো. আজাদ মিয়া ও পৌর শহরের নিউমার্কেটের বাসিন্দা আমির হোসেনের পুত্র মঞ্জু মিয়াসহ একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান হতে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য এনে বিক্রি করে আসছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল র্যাব-৮ শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ১০ গ্রাম ওজনের ১শ’ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এ ২ জনকে আটক করে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আটককৃত আসামিরা স্বীকার করেছে যে, তারা এমফিটামিন জাতীয় মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় বিক্রয়সহ সেবন করে আসছিল।
এ ব্যাপারে বরিশাল র্যাব- ৮ এর ডিএডি রেজাউল হোসেন বাদী হয়ে আজাদ ও মঞ্জুসহ ৫ জনকে আসামি করে ১৯৯০ সালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। এরপর শনিবার দুপুরে আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জে মুফতি মহান্নানসহ ১৫ জঙ্গির হাজিরা, পরবর্তী তারিখ ১০ মার্চ
গোপালগঞ্জে মুফতি মহান্নানসহ ১৫ জঙ্গিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। জেলার কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি হরকাতুল জেহাদের ৬ জঙ্গি সদস্য ও মুকসুদপুরের বানিয়ারচর গির্জায় বোমা হামলা মামলায় প্রধান আসামি মুফতি হান্নানসহ ৯ আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। আজকের কার্যক্রম শেষে আগামী ১০ মার্চ মামলা দুটির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং বিশেষ আদালত-২ এর বিচার মো. মুরশীদ আলমের আদালতে প্রধানমন্ত্রী হত্যা মামলার সাক্ষী এসআই নূর হোসেন তার সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ সময় এ মামলার আসামি ও সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হারকাতুল জেহাদের ২৫ সদস্যের মধ্যে ৬ জঙ্গি সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিরা হলো জিহাদ নেতা মুফতি মওলানা আব্দুল হান্নান মুন্সি, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, মো. মাহমুদ আজাহার ওরফে মামুনুর রশিদ, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মেহেদী হাসান ও অসীম আক্তার। বাকি আসামিদের মধ্যে ২ জন জামিনে, ৭ জন অন্যান্য মামলায় আটক এবং ১২ জন পলাতক রয়েছে। এতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) সুভাষ চন্দ্র জয় ধর।
অন্যদিকে মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জায় বোমা হামলা মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানসহ ৯ আসামিকে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. আলমগীর হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এপিপি সুভাষ চন্দ্র জয়ধর ও আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মো. আজগর আলী খান।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই কোটালীপাড়া উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা স্থলে ও হেলিপ্যাডে ২টি বোমা পুঁতে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০০১ সালে ৩ জুন মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জায় শক্তিশালী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে গির্জায় প্রার্থনারত ১০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়।মিথ্যা মামলায় তাকে জারিয়ে এবং বিএনপির অনেক নেতাকে জরানোর চেষ্টা চলছে। তারেক জিয়ার নামে মিথ্যা শিকারউক্তি আদায় করা হচ্ছে।
পিরোজপুর, ১২ ফেব্রুয়ারি মঠবাড়িয়া উপজেলায় শুক্রবার গভীর রাতে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে স্থানীয় শহিদ মোস্তফা খেলার মাঠ হতে ১শ’ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আজাদ (২৯) ও মঞ্জু মিয়াকে (২৬) আটক করেছে। আটককৃতদের ওই রাতেই বরিশাল র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
র্যাব-৮ সূত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার পুত্র মো. আজাদ মিয়া ও পৌর শহরের নিউমার্কেটের বাসিন্দা আমির হোসেনের পুত্র মঞ্জু মিয়াসহ একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান হতে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য এনে বিক্রি করে আসছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল র্যাব-৮ শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ১০ গ্রাম ওজনের ১শ’ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এ ২ জনকে আটক করে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আটককৃত আসামিরা স্বীকার করেছে যে, তারা এমফিটামিন জাতীয় মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় বিক্রয়সহ সেবন করে আসছিল।
এ ব্যাপারে বরিশাল র্যাব- ৮ এর ডিএডি রেজাউল হোসেন বাদী হয়ে আজাদ ও মঞ্জুসহ ৫ জনকে আসামি করে ১৯৯০ সালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। এরপর শনিবার দুপুরে আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আটককৃত আসামিরা স্বীকার করেছে যে, তারা এমফিটামিন জাতীয় মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় বিক্রয়সহ সেবন করে আসছিল।
এ ব্যাপারে বরিশাল র্যাব- ৮ এর ডিএডি রেজাউল হোসেন বাদী হয়ে আজাদ ও মঞ্জুসহ ৫ জনকে আসামি করে ১৯৯০ সালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। এরপর শনিবার দুপুরে আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন